ঢাকা,শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

রামু ফতেখাঁরকুলে জলাবদ্ধতা নাকাল এলাকাবাসী

saখালেদ হোসেন টাপু, রামু :::

কক্সবাজারের রামু উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠায় সামান্য বৃষ্টিতে দিনের পর দিন মারাত্মকভাবে জলাবদ্ধতা লেগে থাকছে। গ্রামের অভ্যন্তরীণ সড়ক সমুহ ও বাড়ির অঙ্গিনায় দীর্ঘ দিন পানি জমে থাকায় পানি কালো রঙ ধারণ করে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। চলতি বর্ষার শুরু থেকে বের হবে তো দূরের কথা ঘরে থাকতে কষ্টর হয়ে পড়ে পানিবন্দী এসব মানুষের।

 সরেজমিন ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে চৌমুহনী বাস ষ্টেশনের পার্শ্বে উত্তর শ্রীকুল, ফকিরা বাজার ও রামু থানার পাশে দক্ষিণ শ্রীকুল এবং উপজেলা পরিষদের সামনে আমতলিয়া পাড়া ও বড়–য়া পাড়া, সাংবাদিক প্রয়াত আবীর বড়–য়া সড়কে জলাবদ্ধতা সমস্যা লেগে আছে। এদিকে বৃহত্তর শ্রীকুল গ্রামে প্রায় ২০০ পরিবার জলাবদ্ধতা সমস্যায় ভূগছে। তৎমধ্যে ৩/৪টি গ্রামের অভ্যন্তরিন সড়ক, উত্তর শ্রীকুল ৫০টি, দক্ষিণ শ্রীকুল ৫৫টি, হিন্দু পাড়া ৩০টি, হাইটুপী মগ পাড়া ৩০টি আমতলিয়া পাড়া বড়–য়া ২০টি এবং দক্ষিণ দ্বীপ ৫০ পরিবার।

ভুক্তভোগীরা জানান, দিনের পর দিন এই ভয়ঙ্কর জলাবদ্ধতায় তাদের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। তারা আরো জানান, তাদের এলাকায় বসবাসরত লোকের মধ্যে চর্মসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বেশি সমস্যা হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের। এলাকাভেদে আগের ও বর্তমান সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে দূষিত পানি কালো রঙ ধারণ করে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন এলাকাবাসী।

দক্ষিণ শ্রীকুলের বাসিন্দা মোঃ ইউনুচ জানান, পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে দক্ষিণ ও উত্তর শ্রীকুলসহ আশপাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং এছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলে এ সমস্যা হতো না। তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এদিকে রামু সদর ফতেখাঁরকুলের সবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম জানান, পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় তার ইউনিয়নের ২৫০টি পরিবার মারাত্মক জলাবদ্ধতায় সমস্যায় রয়েছে। তিনি শপথ গ্রহনের পরপরই এসব সমস্যা সমধানের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে জানান।

পাঠকের মতামত: